যুবলীগের সাবেক নেতা খালেদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদকে কারাগার থেকে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। এর পরে খালেদের আইনজীবী ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারা অনুযায়ী মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর পরে বিচারক আগামী ১ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব-৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পরের দিন দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র্যাব।
এ মামলার পরে গত বছরের ১৭ নভ্ম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। অভিযোগপত্রের পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ খালেদের বিরুদ্ধে মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তা তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগ নেতা খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া। ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।