যশোরে কোয়ারেন্টিনেই ঈদ কাটাবেন ৮৮ আনসার সদস্য
ভারত থেকে দেশে ফেরা ৩৮৮ পাসপোর্টধারী যাত্রীর সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে ঈদ কাটবে ৮৮ আনসার সদস্যেরও। সেখানে করোনার ঝুঁকি নিয়ে টানা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। এছাড়া দেশে ফেরা অতিরিক্ত পাসপোর্টযাত্রীদের আশপাশের জেলা শহরগুলোর হোটেলে (অস্থায়ী কোয়ারেন্টিন) স্থানান্তরের সময়ও একই গাড়িতে করোনার ঝুঁকি নিয়ে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
যশোর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৩০ এপ্রিল যারা বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসেছেন তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শেষ হবে ১৪ মে। ফলে ১৪ মে ঈদ হলে ৩০ এপ্রিল প্রবেশ করা ১০১ জন পাসপোর্টযাত্রী ঈদের দিন সকালে কোয়ারেন্টিন মুক্ত হবেন। তবে ঈদ যদি হয় ১৩ মে হয়। তাহলে ১০১ জনের ঈদও কাটবে হোটেলের কোয়ারেন্টিনে থেকে।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসেছেন দুই হাজার ছয়শ ৬৬ জন। এসব পাসপোর্টযাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য যশোর জেলার ২৯টি হোটেল ও একটি মাদ্রাসা রিকুইজিশন করে জেলা প্রশাসন। যেখানে এক হাজার ১৭৬ জনকে রাখা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের জেলাগুলোতে হোটেল রিকুইজিশন করে তাদের পাঠানো হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘কোয়ারেন্টিনে থাকা সবাইকে ঈদের দিন সেমাই, পোলাও, মাংসসহ উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। কিছু কিছু হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের উদ্যোগেই সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকা পাসপোর্টযাত্রীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করবে।’
আনসার ও ভিডিপির যশোর জেলার কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘প্রথম থেকেই করোনার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আনসার সদস্যরা। যশোর ও বেনাপোলের হোটেলগুলোতে থাকা পাসপোর্টযাত্রীদের নিরাপত্তায় ৫৮ জন আনসার এবং ঝিকরগাছায় গাজীর দরগাহ মাদ্রাসা কোয়ারেন্টিনে ৩০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।’
জেলা কমান্ড্যান্ট বলেন, ‘যেসব পাসপোর্টযাত্রীদের যশোরের আশপাশের জেলাগুলোর কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িতেও ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আনসার সদস্যরা।’