যত বেশি ভোটার, নৌকার বিজয় তত বেশি সুনিশ্চিত : আতিকুল
ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যত বেশি ভোটার উপস্থিত হবে, নৌকার বিজয় তত বেশি সুনিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আতিকুল।
এ সময় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল এখানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এসেছিলেন। আগামীকাল হয়তো অন্য কেউ আসবেন। আজ আমি এসেছি। একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে বলে আশা করছি।’
রাজধানীতে ডেঙ্গুর বিস্তার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আট দিনের মাথায় এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড হয়। এর কিছুদিন পর ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করে। এই মহামারী ঠেকাতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দুঃখের বিষয় হলো, সিটি করপোরেশনের কোনো কীটতত্ত্ববিদ নেই। আর যারা মশার ওষুধ ছিটান, তাদের টেককেয়ার করার লোক নেই। যেমন গার্মেন্টস সেক্টরে একটি প্রোডাক্ট তৈরির পর তার কোয়ালিটি মেইনটেইন করা হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশনের সেটা ছিল না। আমি চেষ্টা করব, নির্বাচিত হলে এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার।’
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তার চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে আতিকুল বলেন, “আমি একদিন সিটি করপোরেশনের মিটিংয়ে বলেছিলাম, হোল্ডিং ট্যাক্স মানুষ বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমেই দিতে পারবেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘স্যার তা সম্ভব না।’ তখনই আমার সন্দেহ জাগে। আমি তাঁর ফাইল খুঁজে বের করি। জানতে পারি, তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। আমি খবর নিয়ে জানতে পারি, ঢাকায় তাঁর আট থেকে দশটি বাড়ি আছে। পরে তাঁর ফাইল দেখে জানতে পারি আয়ের উৎস। হোল্ডিং ট্যাক্সের যে টাকা আসে, অর্ধেক টাকা নিজের পকেটে নিয়ে বাকি অর্ধেক সরকারি কোষাগারে দিতেন তিনি। আমি যখন তাঁর চাকরি খেতে যাই, তখন অনেকে বলেছেন, ‘স্যার এটা আপনি পারবেন না।’ তখন বলেছি, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন বলেছেন, ‘কালো চশমা পড়ো, আর আমার মোবাইল নম্বর রাখো। যেই দুর্নীতি করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’ পরে ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ওয়েলডান বলে সামনে এগিয়ে যেতে বলেন। এটাই শেখ হাসিনার দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।”