মৌলভীবাজারে চাঁপাইনবাবনগঞ্জ ফেরত ৭১ জনের বাসা লকডাউন করে নমুনা সংগ্রহ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বড়কাপন ও গুজারাই এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৭১ জনের বসতি এলাকা লকডাউন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার বড়কাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহরতলীর গুজারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্দেহভাজন ৭১ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সবচেয়ে করোনা সংক্রমিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরত ৭১ জনের দেহে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকার সন্দেহে তাদের পরীক্ষার আওতায় আনা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৭১ জনের বাড়ি লকডাউন করা হয়।
জানা যায়, এসব ব্যক্তি জীবন-জীবিকার তাগিদে মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী দীর্ঘদিন যাবত বিক্রি করে আসছিলেন। সম্প্রতি রমজান মাসের শেষের দিকে পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে নিজ এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ যান। ঈদ উদযাপন শেষে চলতি গত সপ্তাহে তারা মৌলভীবাজার পৌর এলাকার বড়কাপনে ৬৩ জন ও শহরতলীর গুজাই এলাকায় সাতজনসহ ৭১ ব্যক্তি প্রবেশ করার সংবাদ মিলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে বড়কাপন ও গুজারাই এলাকায় উপস্থিত হন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরত মোট ৭১ জন ব্যক্তিকে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দেহভাজন হিসেবে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে তাদের অবস্থান করা বাসাগুলোতে লাল কাপড় টানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে গত ২৯ তারিখে স্বাস্থ্য বিভাগ খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের লকডাউনের আওতায় এনে তাদের ৩৪ জনকে করোনা টেস্ট করালে ১৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও মৌলভীবাজার পৌরসভা ওই ৭১ জনকে খুঁজে বের করে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা যে ৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে, তাদের বসতিস্থল লকডাউন করে রাখা হয়েছে।