প্রযোজক হাজি মোজাম্মেল হক সরকার মারা গেছেন। গতকাল রাত ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি।

সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রযোজক হাজি মোজাম্মেল হক সরকার আমাদের সমিতির অন্যতম সদস্য। একের পর এক চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একজন প্রযোজক হিসেবে আমি নিজেও শোকাহত।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে তিনি প্রযোজনা করতেন। বড় বাজেট দিয়ে বড় পরিসরে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ ছিল তাঁর। আমরা একজন সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। করোনার প্রকোপের পর এমন একজন প্রযোজক অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারতেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুন।’

সমিতির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোরশেদ খান হিমেল বলেন, ‘শুধু প্রযোজক হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও অনেক ভালো ছিলেন তিনি। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। চলচ্চিত্র থেকে তিনি যে অনেক কিছু পেয়েছেন, বিষয়টি এমন নয়। তবুও একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। যেখানেই থাকুন, আল্লাহ যেন উনাকে ভালো রাখেন।’

প্রযোজক গোলাম কিবরিয়া লিপু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের প্রতি আলাদা ভালোবাসা ছিল তাঁর। চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে অনেকের কাছে কষ্টও পেয়েছেন, তবে তিনি তা সহজে প্রকাশ করতেন না। করোনার পর নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণ করার কথা চিন্তা করছিলেন তিনি। অনেক ভালো মানুষ ছিলেন মোজাম্মেল হক সরকার।’

এদিকে, মোজাম্মেল হক সরকারের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজকসহ কলাকুশলীরা।

অসুস্থ হয়ে সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মোজাম্মেল হক। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মেসার্স ভাওয়াল পিকচার্সের স্বত্বাধিকারী ছিলেন মোজাম্মেল হক সরকার। তাঁর প্রযোজিত ছবির মধ্যে ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘রাজা বাবু ৪২০’, ‘পাংকু জামাই’, ‘রংবাজ’ উল্লেখযোগ্য।