মোংলা বন্দরে সিবিএ নেতার মাধ্যমে প্রতারণা করে চাকরি
প্রতরণার মাধ্যমে ভুয়া ঠিকানা ও কাগজপত্র ব্যবহার করে মোংলা বন্দরে চাকরি নিয়ে দুদকের তদন্ত জালে আটকা পড়েছেন লাইট কিপার পদবির মো. শাহীন। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে। বন্দরে চাকরির ঘোষণা অনুযায়ী ওই জেলায় কোটা না থাকায় প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে তিনি চাকরি নিয়েছেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি চর দক্ষিণবাড়ীর ঠিকানায়।
২০১৩ সালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান শাকিব মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে এ চাকরি পাইয়ে দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মতিয়ার রহমান শাকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদটি না করার জন্য অনুরোধ করেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগের লাইট কিপারসহ অন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে লাইট কিপার পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির মো. মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. শাহীন। তাঁর জেলায় কোটা না থাকায় প্রতারণার মাধ্যমে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন ও বয়স কমিয়ে রাজবাড়ী জেলার ঠিকানায় আবেদন করে চাকরিতে ঢোকেন।
তবে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মো. শাহীন বলেন, ‘বিষয়টি সত্য নয়।’
এদিকে বন্দর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে শাহীনের প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে দুদকের খুলনার সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
এ নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়েজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেব।’