মোংলায় ওঝা সেজে চেতনানাশক খাইয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
বাগেরহাটের মোংলায় ওঝা (কবিরাজ) সেজে বাড়ি বন্ধ ও ঝাড়ফুঁকের নাম করে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে বাড়ির লোকজনকে অচেতন করে টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল লুটে নিয়েছে দুই দুর্বৃত্ত।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে মোংলার সাতঘরিয়া গ্রামের মৃত বিদ্যুতের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ সোমবার সকালে ওই বাড়ির তিন ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশী ও ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা জানায়, রোববার রাত ১০টার দিকে দুই ব্যক্তি সাতঘরিয়া গ্রামের বিদ্যুতের বাড়িতে যায়। তারা ওই বাড়িতে রাতে আশ্রয় চাইলে বাড়ির লোকজন রাজি হয়ে তাদের রাতের খাবার খেতে দেন। এরপর তারা বাড়ির লোকজনকে বলে এই বাড়িতে ভয়ভীতির আছর রয়েছে। তাই বাড়ি বন্ধ করতে হবে। তাদের কথা মতো সবই করে বাড়ির লোকজন। এর একপর্যায়ে কৌশলে তারা রাত ১২টার দিকে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে দেয় গৃহকর্ত্রী কবিতা, তাঁর ছেলে বিপ্লব ও কবিতার বড় বোন সবিতাকে। এরপর তারাও ঘরের বারান্দায় ঘুমানোর ভান করে। দুধে মিশানো চেতনানাশকে বাড়ির লোকজন অচেতন হয়ে পড়লে প্রতারকরা ঘরে ঢুকে ১০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির লোকজন দেখতে না পেয়ে গিয়ে দেখে ঘরে তিনজন অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দুপুরের দিকে তাঁদের চেতনা ফিরেছে। তবে বেশি কথা বলতে পারছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় আনা বিপ্লব (৩২), কবিতা মল্লিক (৫২) ও সবিতা মল্লিকের (৫৫) শারীরিক অবস্থা এখন ভালো এবং তাঁরা শংকামুক্ত।