মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দিয়ে চীনা টিকার প্রয়োগ শুরু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষামূলক এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যে চুক্তিটা হচ্ছে সেটা হয়ে গেলে আগামী মাস অর্থাৎ জুন মাস থেকেই বেশি পরিমাণে টিকা আসতে শুরু করবে। তখন বেশি মাত্রায় টিকা দেওয়া শুরু করতে পারব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আরও ভাল খবর হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেই করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’
মন্ত্রী জানান, ‘চীন থেকে পাওয়া উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা আড়াই লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে চীনের উপহারের এই টিকা এক হাজার জনকে দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হোয়াইট ফাঙ্গাস আরেকটা সমস্যা। বাংলাদেশেও একজন দুজন রোগী পাওয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি। আমাদেরকে আগে থেকেই সাবধান হতে হবে।’
রাজধানীর চারটি সরকারি হাসপাতালে চীনের এই টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হবে।
আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজে মোট ১৫৭ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্যন্যা সালাম সমোতাসহ ছয় শিক্ষার্থী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এবং স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
পরীক্ষামূলক টিকাদান পর্ব শেষে টিকা গ্রহণকারীদের সাত থেকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর বাকি টিকাগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়া শুরু হবে।