মুক্তি পেলেন নামের ভুলে জেলখাটা সালাম ঢালী
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সঙ্গে নামের কিছুটা মিল থাকায় সাজা ভোগ করা খুলনার সালাম ঢালী মুক্তি পেয়েছেন। হাইকোর্টে আজ এ বিষয়ে শুনানির কথা ছিল। এর আগে মুক্তি দেওয়ায় গ্রেপ্তারের বৈধতা নিয়ে শুনানি হাইকোর্টের নিয়মিত (কোর্ট খোলার পর) বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার আদালতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও শাহিনুজ্জামান।
ইয়াদিয়া জামান সাংবাদিকদের বলেন, রিটটি আজ বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকাভুক্ত ছিল। এর মধ্যে সালাম ঢালী মুক্তি পেয়ে গেল। তাই আমরা বলেছি, তাকে অবৈধ গ্রেপ্তার, জেলখাটার বৈধতা নিয়ে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করব। এরপর আদালত তাতে সায় দেন।’
শাহীনুজ্জামান জানান, জেল খাটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও তখন উপস্থাপন করা হবে।
গত ৫ জুলাই মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সালাম ঢালী রিট করেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির সালাম ঢালীর দ্রুত মুক্তি চেয়ে পৃথক একটি রিট করেছিলেন।
এর মধ্যে গতকাল ৬ জুলাই সালাম ঢালীকে মুক্তির নির্দেশ দেন বাগেরহাটের আদালত। পরে সন্ধ্যা তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত ১ জুলাই ‘আসামি না হয়েও জেল খাটছেন খুলনার সালাম ঢালী’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করে আইন ও সালিশ কন্দ্রে। একই বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির পৃথক একটি রিট করেন। রিটে তিনি জানান, শফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবদুস সালামের পরিবর্তে জেল খাটছেন মফিজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে মো. সালাম ঢালী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে, আসামির নাম, বাবার নামের এবং ঠিকানার একাংশে নামে মিল থাকায় নিরাপরাধ মো. সালাম ঢালী (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রকৃত আসামির নাম মো. আবদুস সালাম। মূল আসামিকে বাঁচাতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভুল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।