মুক্তিযুদ্ধে জিতেছি, করোনাযুদ্ধেও জয়ী হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দুর্যোগ এলে ভেঙে পড়লে চলবে না। সাহসের সঙ্গে সেটা মোকাবিলা করতে হবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। মনে সাহস নিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। এবারও করোনা মোকাবিলায় আমাদের বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এখানেও বাঙালিদের জয়যুক্ত হতে হবে।’
আজ সোমবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সচিবদের প্রত্যেককে একেকটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সবাই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে যাতে লোকসমাগম না হয়, সে জন্য ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চের মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা স্থগিত করা হয়েছে। অথচ অনুষ্ঠানের জন্য আমরা কয়েক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। এ ছাড়া পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেক আয়োজন থাকে। বিশ্বে ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়লেও আমরা এসব কারণে অনেক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্বমন্দার কথা মাথায় রেখে আমরা আগামী তিন বছরের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। দেশে অনেক অল্প আয়ের মানুষ রয়েছে। এমন লোকও রয়েছেন, যাঁরা কারো কাছে হাত পাততে পারেন না। আমরা এমন ৫০ লাখ পরিবারের জন্য কার্ড করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। ১০ টাকা কেজি দরের বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও অর্থসহায়তাও চালু রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এবার কৃষকদের কাছ থেকে ২১ লাখ টন খাদ্যশস্য কিনে মজুদ করব, যাতে জরুরি প্রয়োজনে এসব খাদ্যশস্য মানুষের সহায়তায় ব্যবহার করা যায়।’