‘মানুষ চায় পরিবর্তন, ধানের শীষ পরিবর্তনের প্রতীক’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে ইতিপূর্বে ঢাকাকে দূষণ আর বসবাসের অনুপযোগী এক নম্বর শহরে পরিণত করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ চায় পরিবর্তন, ধানের শীষ পরিবর্তনের প্রতীক।’
আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের মোড়ে গণসংযোগের সময় এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন। এ সময় ইশরাকের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ইশরাক বলেন, ‘ঢাকা আজ বসবাসের অযোগ্য নগরের তালিকায় এক নম্বরে আছে। বায়ুদূষণের দিক থেকেও আমরা সবচেয়ে দূষিত নগরের তালিকায় বিশ্বের এক নম্বরে। এই যে আমাদের ঢাকাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে তার কারণ এই সরকারের জবাবদিহিতা নেই জনগণের প্রতি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইশরাক। ভিসির বাসভবনে যান তিনি।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইশরাক বলেন, ‘যদিও আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নই। তারপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমার বাবা, আমার মা, আমার বোন এখান থেকে পড়াশোনা করেছেন। আমি এখানে এসেছি আপনার কাছে দোয়া চাইতে। আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল রাজনীতি করার। এ জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি যদি মেয়র নির্বাচিত হই, তাহলে সিটি করপোরেশনের সব সমস্যা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব। এ ছাড়া মানুষের সব ধরনের অধিকার নিয়ে আমি কাজ করতে চাই।’
এ সময় ঢাবি ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আশা করছি সামনের নির্বাচনে একটি সুষ্ঠু ও সাবলীল পরিবেশ থাকবে। এখানে আসার জন্য আমি আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি।’
পরে ঢাবি এলাকায় প্রচারণা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইশরাক বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রয়েছি, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে রয়েছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে রয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক, জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক। ভোটের দিন যদি সে রকম কোনো পরিস্থিতি হয়, তাহলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কীভাবে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করবে এবং তারা তাদের প্রতিবাদ জানাবে।’
‘নির্বাচনে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ থাকবে’—ঢাবি উপাচার্যের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত কি না জানতে চাইলে ডিএসসিসির এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘স্যার খুব আন্তরিক হয়ে কথাটি বলেছেন। আমরা সুষ্ঠু ও সাবলীল নির্বাচন আশা করি। আশা করছি, তিনি যে কথা বলেছেন, যাঁরা নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন—নির্বাচন কমিশন, তাঁরা উনার কথা শুনবেন, আমলে নেবেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত করবেন।’