মানিকগঞ্জের হরগজ গরুর হাটে সামাজিক দূরত্ব নেই, ইউএনওর হস্তক্ষেপে স্থগিত
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নে হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রয়েছে বৃহত্তর গরুর হাট। এখানে প্রতি সপ্তাহে অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে গরু বেচাকেনা হয়।
রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলা থেকেও গরু ব্যবসায়ীরা প্রতি সপ্তাহে এখানে ব্যাপক ভিড় জমায়। এখানে বিভিন্ন অঞ্চলের গরু আনা হয়ে থাকে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই ইজারা নিয়ে এই হাট বসানোর ব্যবস্থা করে থাকে। সেইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো থাকায় এখানকার হাট অনেকটাই প্রসিদ্ধ।
কিন্তু চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিট-১৯-এর সংক্রমণ এড়াতে এই গরুর হাটে সামজিক দূরত্ব নেই বললেই চলে।
আজ সকাল থেকেই দেখা যায় ওই গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সব ধরনের সাপ্তাহিক হাট সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত ৩১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট বসানোর নির্দেশনা থাকলে তা এখন প্রায়ই উপেক্ষিত। এতে করে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিও অনেকটাই দৃশ্যমান। তা ছাড়া গরুর হাটগুলো এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।
এদিকে, হাটের ইজারাদার হরগজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের অনুমুতি নিয়েই সীমিত আকারে হাট বসানো হয়েছে। সেইসঙ্গে হাটে আসা ব্যবসায়ীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ মাস্ক পরার জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটা মনিটরিং দল সার্বক্ষণিক দেখভাল করছে। কিন্তু বলা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবসায়ীরা সামাজিক দূরত্ব মানছে না বললেই চলে।’
অপরদিকে, সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। কিন্তু হাট এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না এই মর্মে কিছু প্রামাণ্যচিত্র পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হতো।’
এরপর প্রামাণ্যচিত্র দেখে দ্রুত হাটের ইজারাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গরুর হাট বসানো যাবে না।