মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শরীরের গুরুতর অবনতি হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবার থেকেই আবেদন জানানো হয়েছে। সুতরাং সরকারের এখন এসব নিয়ে অন্য কোনো রাজনীতি না করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাঁকে মুক্তি দেওয়াটা জরুরি।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এর আগে বিকেল সোয়া চারটা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনের আলাপের বিষয়ে কোনো জবাব পাওয়া গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের অন্য কোনো রাজনীতি না করে মানবিক কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনি (ওবায়দুল কাদের) কী বলেছেন এটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনাকে বললে বেটার হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবিটা নিয়ে আমরা আজকে নয়, গত ২ বছর ধরেই আমরা কোর্টে যাচ্ছি, কথা বলছি, রাস্তায় নামছি, চিৎকার করছি। সারা দেশবাসী এই মুহূর্তে ম্যাডামের মুক্তির দাবি করছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘চেয়ারপারসনের আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁর মামলার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আগামী সাপ্তাহে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবার আবেদন করবে আইনজীবীরা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আবার ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) জামিনের দরখাস্ত করব। আশা করি, অন্তত দেশবাসীকে আমাদের হাইকোর্ট বিভাগ এমন একটি ইঙ্গিত দেবেন যে, না দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে। আমরা বিশ্বাস করি, হাইকোর্ট দেশের জনগনের শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে আমরা এবার জামিনের আবেদন যদি করি অবশ্যই আমরা জামিন লাভ করব। ’
কবে নাগাদ জামিন আবেদন করবেন জানতে চাইলে প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার জামির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘সিনিয়র ল‘ইয়ার্সের সঙ্গে আলাপ করে এজ আরলি এজ পোসেবল- মে বি নেকস্ট উইক, উইক আফটার আমরা আবেদন করব।’
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ছিলেন।