মহাবিপদ সংকেতেও মোংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না মানুষ
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পরও মোংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি স্থানীয় লোকজন।
তবে শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত মান্নান বলেন, ‘দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যাপারে কাজ করতে আমরা এখন বের হচ্ছি। দুর্গতদের জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে সেগুলো বিতরণ করা হবে।’
পৌর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে দফায় দফায় সতর্কতামুলক মাইকিং করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তুতি সভা ছাড়া তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।
এদিকে মহাবিপদ সংকেত জারি হলেও এখনো সব জায়গায় তিনটির মধ্যে বিপদ সংকেতের একটি পতাকা উড়তে দেখা যায়। এতে জনসাধারণের মধ্যে নানারকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ লোকজন বুঝতে পারছে না আসলেই কত নম্বর বিপদ সংকেত চলছে।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পর বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে পশুর চ্যানেলে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাত থেকে পণ্য ওঠানামা ও জাহাজ আগমন নির্গমন বন্ধ রয়েছে।
বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ এম টি ‘সুন্দরবন’, এম টি শিপসা ও এম টি অগ্নিপ্রহরী এবং কোস্টগার্ডের সিজিএস কামরুজ্জামান, মুনসুর আলী, স্বাধীন বাংলা, সোনার বাংলা ও অপারেজয় বাংলা নামে পাঁচটি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধার তৎপরতার জন্য।