মসজিদে বিস্ফোরণ : তিতাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা অফিসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ শনিবার সকালে তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করেছিল তিতাস কর্তৃপক্ষ।
গ্রেপ্তার হওয়া তিতাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন তিতাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, প্রকর্মী মো. ইসমাইল, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইয়ুব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিআইডি কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ডিআইজি মাইনুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস ছাড়াও আরো কারো অবহেলা তদন্তে পাওয়া গেলে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া আটজনকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আজিজ আহমেদ (৪০) নামের আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জনে।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় আজিজ আহমেদের মৃত্যু হয়।
ডা. সামন্ত লাল সেন আরো বলেন, ‘আজিজ আহমেদ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদের ভেতরে ৫০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ জন মারা গেছে।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।