মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীর মোবাইলের দুই ক্রেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষী দুজন হলেন- মো. খায়রুল ও অরুণা।
এর মধ্যে অরুণার কাছে ছাত্রীর মোবাইল বিক্রি করেন মজনু। পরে অরুণা মোবাইলটি সংস্কারের জন্য মো. খায়রুলের কাছে দেন। খায়রুলের কাছ থেকে ওই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাক্ষী খায়রুলের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন ও পাওয়ার ব্যাংক উদ্ধার করা হয়। আর অরুণার কাছে মজনু ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি বিক্রি করেন। এ সম্পর্কে তাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন।’
গত ৫ জানুয়ারি ঢাবির ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে মজনু কারাগারে আছেন।
গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় কোনো কার্যক্রম হয়নি। গত ২৬ আগস্ট একই আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।