ভৈরবে সংঘর্ষে হত্যা-ভাঙচুরের মামলায় সাত শতাধিক আসামি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনায় নিহতদের পক্ষে দুটি এবং প্রতিপক্ষের লোকজন তিনটি মামলা করেছে। এ পাঁচ মামলায় দুই গ্রামের সাত শতাধিক আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল শনিবার ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামে শেখ বাড়ি ও শিকদার বাড়ির লোকজনের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত পাভেল শেখকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়তার সূত্রে খলাপাড়া গ্রামের শেখবাড়ির লোকজন হামলা চালায় পাগলাবাড়ির লোকজনের ওপর। পরে এই সংঘর্ষ পুরো দুই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিবাদমান বংশগুলোর শতাধিক লোক আহত হয়। গুরুতর আহত মকবুল শেখকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহত মকবুলের ভাই আক্কাছ মিয়া ও নিহত শেখ পাভেলের ভাই শেখ উজ্জ্বল বাদী হয়ে আড়াইশ লোককে আসামি করে ভৈরব থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
সংঘর্ষ এবং মামলার পর গ্রেপ্তার এড়াতে পাগলাবাড়ি ও শিকদারবাড়িসহ তাদের সমর্থক বংশের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ ফাঁকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের তিন শতাধিক বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। মধ্যযোগীয় কায়দায় চালানো এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বাড়িগুলো সমস্ত মালামাল ও আসবাবপত্রসহ কাঁচাপাকা বাড়ির ঘর-দরজা ভেঙে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে থাকা নারীদের শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ করা হয় মামলায়। তবে এই পাঁচ মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। জোড়া খুনের মামলা দুটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।