ভৈরবে শেষ হলো ১০ দিনব্যাপী বইমেলা
বইমেলা শুধু বই বিক্রির হাট নয়, এ কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে। কারণ, বইমেলা হলো আমাদের চেতনার অংশ। একুশ এলে আমরা উজ্জীবিত হই। আমরা শানিত হই মানসিকভাবে। তাই একুশে বইমেলা বাঙালির চেতনার মঞ্চ। মুক্তচিন্তা আর কর্মের মানুষদের মিলনমেলা।
শুধু বই কিনলে হবে না, বই পড়তেও হবে। আবার যেনতেন বই পড়লেও হবে না। পড়তে হবে ভালো বই। যে বই মনকে প্রসারিত করবে, করবে উদার, মানবিক আর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত। তাই শুধু বইমেলায় এসে ঘুরেফিরে সময় কাটানো নয়, ভালো ভালো বই কিনে পড়তে হবে। আর এ ক্ষেত্রে মায়েদের বেশি এগিয়ে থাকতে হবে। কারণ, আজকাল সন্তানের মেধা বিকাশের সঙ্গে, শিক্ষার সঙ্গে মায়েরা গভীরভাবে জড়িয়ে আছেন।
গতকাল রোববার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১০ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী দিনে এসব কথা বলেন অতিথি বক্তারা। ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ সৌরভের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মান, রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ, ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন কাজল, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভৈরব বইমেলা পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় রাজকাচারি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ২৩তম বইমেলার উদ্বোধন করেন দেশের প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
এবারের বইমেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র নিয়ে একটি মুজিব মঞ্চসহ ১৮টি বইয়ের স্টল বসে। ওই স্টলগুলোতে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি টাকার বই বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন বইমেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. সুমন মোল্লা। বেশি টাকার বই বিক্রি করে সেরা তিনটি স্টলের পুরস্কার পায় প্রথম আলো বন্ধুসভা, সানাই ও রকমারী নামের তিনটি স্টল।
মেলামঞ্চে এই ১০ দিন আলোচনা সভা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শক ওইসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।