ভৈরবে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গল্পকথা’র মোড়ক উন্মোচন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ ও পটভূমি নিয়ে সংকলিত স্মরণিকা ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গল্পকথা’র মোড়ক উন্মোচন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার।
ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গতকাল সোমবার রাতে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তিনি স্মরণিকাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে সরাসরি উপস্থিত থেকে মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন পৌর মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, জেলা পরিষদের প্যানেল-মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল বাসেত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন।
সম্পাদনা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা.এ বি ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাবেক মেয়র হাজি শাহীন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহ, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরুক, ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ সৌরভ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গল্পকথা’ নিয়ে স্মরণিকা প্রকাশ করায় আমি সম্পাদক মোস্তাফিজ আমিনসহ অরুণিমা পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই।
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ক্ষুদ্র ঘটনা ও স্মৃতিকে তিনি দেশের ইতিহাসের জন্য বিরাট ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘এসব ঘটনা ও স্মৃতি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এভাবে সংকলিত হওয়া উচিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত।’
এ সময় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময়কার তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু স্মৃতি তুলে ধরেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম এদেশে হয়েছে বলেই আমরা আজ স্বাধীন দেশে বাস করছি। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা এখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত হতে যাচ্ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার শুরু করে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে ডিজিটালে রূপান্তিত করতে কাজ করছেন।’
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ১৯৭২ থেকে ২০২০ সালের তুলনামূলক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। বিশ্বে দ্রুত উন্নয়নের রোল মডেল।’
স্থানীয় অতিথি বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করায় সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিনকে ধন্যবাদ দেন। তাঁরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা নিয়ে বই প্রকাশ করা একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি মোস্তাফিজ আমিন করতে পেরেছেন।
বইটি ভৈরবের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিন সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গল্পকথা’ স্মরণিকাটি প্রকাশ করেছে সাপ্তাহিক নিরপেক্ষ অরুণিমা পরিবার। চার রঙের কভার ও অফসেট পেপারে সাদা-কালো ছাপায় ১১৬ পৃষ্ঠার স্মরণিকাটির সম্পাদনা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন সাংবাদিক ও অধ্যাপক সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, সাংবাদিক মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, সংগঠক মো. মফিজুল ইসলাম মাহফুজ, সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, সাংবাদিক আলহাজ সজীব আহমেদ ও সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপু।