ভারত সীমান্তে লোক পারাপার বন্ধ থাকবে আরও ১৪ দিন
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সব সীমান্তে লোক পারাপার আরও ১৪ দিন বন্ধ থাকবে। তবে আগের মতোই দুই দেশের মধ্যে মালবাহী যান চলাচল অব্যাহত থাকবে।
আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ইউএনবিকে বলেন, ‘সীমান্ত বন্ধের সময়সীমা আরও ১৪ দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হলো। কিন্তু আগের মতোই সব চলবে।’
শনিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের উপস্থিতিতে এক ভার্চুয়াল সভায় সীমান্ত বন্ধের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর আগে সরকার গত ২৬ এপ্রিল (সোমবারর) সকাল ৬টা থেকে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এ সময়ে শুধু ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশের নাগরিকরা এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলা যাত্রীরা বাংলাদেশের দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলা হাইকমিশন অফিস থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। তবে দেশে ফেরার আগে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে এবং দেশে ফিরে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনার পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে ভারতের শ্মাশান এবং কবরস্থানগুলোতে লাশের অতিরিক্ত চাপের কারণে দিনভরই চলে শেষকৃত্যের কাজ। হঠাৎ করেই রোগী সংখ্যা বেড়ে যাওয়া দেশটিতে চরম অক্সিজেন সংকট দিয়েছে। অক্সিজেন স্বল্পতা এবং চিকিৎসার অভাবেই প্রতিদিন অনেক রোগী মারা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের থাবায় লণ্ডভণ্ড ভারতে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চার হাজার ১৮৭ জন মারা গেছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া দেশটিতে এই সময়ের মধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চার লাখ এক হাজার ৭৮ জন। বর্তমানে ভারতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৬ জনে। অন্যদিকে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার ২৭০ জনে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসল মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কেননা, করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা এই গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এদিকে, বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। শনিবার দুপুরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে, যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসএআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর ইউএনবিকে বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গেছে। সেটি আমি দেখেছি। আর না ধরা পড়লে তো এ ধরনের কোনও তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেনি।