ভারত থেকে ফেরা ১০ কোভিড রোগী হাসপাতাল থেকে লাপাত্তা
ভারত থেকে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা ১০ রোগী যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে গতকাল রোববার দুপুরের মধ্যে তাঁরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের রেজিস্টারে দেওয়া এসব রোগীর নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলে দ্রুত তাঁদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স লাবনী বিশ্বাস বলেন, ‘ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আসা ১০ রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভারত থেকে আসা কিছু রোগী ভর্তি হন। গতকাল রোববারও কিছু রোগী আসেন। সব মিলিয়ে ১০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁদের হাসপাতালের তৃতীয় তলার করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।’
হাসপাতালের ভর্তি-রেজিস্টার অনুযায়ী ওই ১০ করোনা রোগী হলেন, যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই এলাকার একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর সদরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), যশোর সদরের ওমাদা গ্যারেজ এলাকার মৃত ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মনতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালি রানী (৪০), রাজবাড়ী সদরের রামকান্তপুর এলাকার গোলাম রাব্বানীর মেয়ে নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনা সদরের কলিম কৃষ্ণের ছেলে বিবেকানন্দ (৫২) ও খুলনার রূপসা উপজেলার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭)।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।’
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘রোগী পালানোর কথা শুনে গতকাল রোববার সকালেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। পালিয়ে যাওয়া রোগীদের নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা রোগীদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’