ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের স্বাস্থ্যের অবনতি
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর জ্বর বেড়েছে এবং প্রেশার কমে গেছে। পাশাপাশি ডান হাত অনেক দুর্বল হয়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তবিবুর রহমান আকাশ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রফিক-উল হক স্যারের শরীর আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে। তাঁকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। স্যারের শরীরে প্রেশার কমে গেছে, প্রচণ্ড জ্বর রয়েছে এবং অক্সিজেন সাপোর্ট বেশি লাগছে। এ ছাড়া ডান হাত দুর্বল হয়ে গেছে। শরীরে রক্তশূন্যতা রয়েছে।’
এর আগে গত রোববার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, রফিক-উল হকের ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে।
আদ-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খ্যাতিমান এই আইনজীবীকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে ভিআইপি কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি হাসপাতালের ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তাঁর স্বাভাবিক হাঁটাচলা ব্যাহত হয়। মাঝেমধ্যে পায়ে ব্যথা হয়। যে কারণে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন তিনি। ২০১১ সালে স্ত্রী ডা. ফরিদা হকের মৃত্যুর পর থেকে তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন।
রফিক-উল হকের জুনিয়র এক আইনজীবী বলেন, ‘অনেক দিন স্যার লোকসমাগম ও গণমাধ্যম এড়িয়ে চলেন। কারো সঙ্গে বেশি সময় কথা বলেন না। সংবিধান, আইন, আদালত, দেশের রাজনীতির প্রতি এখন আর আগের মতো আগ্রহ নেই। আগে যেভাবে এসব নিয়ে সরব ছিলেন, এখন তা একেবারেই নেই। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া আদালতেও আসেন না খুব একটা। আদালত-সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়েও এখন তাঁর আগের মতো উৎসাহ নেই। স্যারের মামলাগুলো এখন আমরাই পরিচালনা করি। তিনি আমাদের পরামর্শ দেন। আর পুরানা পল্টনের বাড়ি এত প্রিয় যে এখান থেকে কোথাও যেতে চান না তিনি।’