বাজারে পেঁয়াজ সংকট। আমদানি করা বিদেশি পেঁয়াজও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। তাই বারো মাস পেঁয়াজ চাষ করার পরিকল্পনা থেকে বোতলে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন পঞ্চগড়ের কৃষক আতাউর রহমান খান।

জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আতাউর। শুরুতে একটি বোতলে পরীক্ষামূলক এই পেঁয়াজ চাষ করেন তিনি। স্বল্প খরচে অল্প দিনেই ভালো ফল পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন, নিজ বাড়িতেই বারো মাস বোতলে পেঁয়াজ চাষের। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

আতাউর রহমান খান জানান, বাজারে পেঁয়াজের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় উঠে যাওয়ায় তিনি বোতলেই বারো মাস পেঁয়াজ চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে পানি ও জৈব সার দিয়ে ভরাট করে নেন একটি বড় প্লাস্টিকের বোতল। তার পর বোতলটির গায়ে ছোট অনেকগুলো ছিদ্র করে দেন। বাজার থেকে একেবারে ছোট ছোট পেঁয়াজ কিনে তা ওই বোতলে রোপণ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই বোতলের ছিদ্র দিয়ে পেঁয়াজের পাতা গজাতে থাকে।

তিন মাসের মধ্যেই এই পেঁয়াজ তোলা যায়। প্রতিটি আড়াই লিটারের বোতলে রোপণ করা যায় আধা কেজি পেঁয়াজ। আতাউর জানান, একটি বোতলে সর্বোচ্চ ৫০টি পেঁয়াজ রোপণ করা যায়। প্রতিটি বোতলে রোপণকৃত আধা কেজি পেঁয়াজ থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজের ফলন পাওয়া যাবে। একটি বোতল থেকে বছরে আধমণ পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব।

আতাউর রহমান খান আরো বলেন, এ পদ্ধতিতে খুব সহজেই বাড়ির ভেতরে কিংবা ছাদে পেঁয়াজ চাষ করা যায়। তেমন কোনো পরিশ্রম হয় না এবং ক্ষেতের পেঁয়াজের চেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠে। আর বারো মাসই চাষ করা যায় এই পেঁয়াজ।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘বাড়ির বারান্দা বা উঠানে এই বোতলের সাহায্যে পেঁয়াজ চাষ করা যায়। স্বল্প খরচে স্বল্প পরিসরে অব্যবহৃত বোতলে এই পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। আমরা অন্য কৃষকদেরও এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছি। এটা একটি উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম।’