পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গোটা বিশ্ব অনেক বড় অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির ধাক্কা আমাদের দেশেও লেগেছে। বৈশ্বিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমরা টিকে থাকার চেষ্টা করছি। বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিব বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও গ্রন্থটির এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমানুল্লাহ, বিএলএফসির (বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন) সাবেক চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, ব্যাংকিং অ্যালমানাকের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘অর্থনীতি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় সঠিক চিত্র উঠে আসছে না। এজন্য সব আলোচনার আগে প্রকৃত শব্দটি যোগ করার প্রয়োজন। ব্যাংকিংয়ের কথা বলি, প্রবৃদ্ধির কথা বলি, দারিদ্র্যের কথা বলি—প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এখন প্রকৃত শব্দটা জরুরি হয়ে পড়েছে। ব্যাংকের আমানতে ও ঋণ বিতরণে ৯ ও ৬ শতাংশ সুদ হার নিয়ে যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর্থিক খাত নিয়ে গৃহীত সব কর্মকাণ্ড প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবকিছু প্রকাশ্যে আনলে কিছুটা আলোচনা হলেও তার বিপদ কেটে যাবে। আর গোপন রাখলে তো আরও সমস্যা বাড়বে।’