বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের আদেশ ২০ মে
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে পরবর্তীতে আদেশের জন্য আগামী ২০ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এনরিআরসিএর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।
পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, আজ এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননার জবাব দাখিলের জন্য দুদিন সময় চেয়েছেন। আদালত পরবর্তীতে আদেশের জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৬ মে এনটিআরসিএর প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাতদিনের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের জন্য প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী প্রায় দেড় হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি এই সময়ের জন্য স্থগিত করেছিলেন আদালত। আজ সেটা শুনানির জন্যে ধার্য ছিল। শুনানির নির্ধারিত দিনে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ অগ্রগতি দাখিল করবেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। এরপর সেটা আগামী ২০ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আশা করি, ওইদিন শুনানি হবে।
এর আগে ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত। আদালতের ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।