বীমা নিয়ে মানুষের অনাস্থা দূর করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বীমাগ্রহীতারা যেন দাবীকৃত অর্থ সহজেই পায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথম জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বীমা নিয়ে মানুষের অনাস্থা ও বিশ্বাসের সংকট দূর করতে বীমা-সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বীমা পরিবারের সদস্য। বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালের ১ মার্চ এক হাজার ৫০০ রুপি বেতনে যোগ দিয়েছিলেন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে। সে দিনটি স্মরণে প্রথমবারের মতো ১ মার্চ পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস।
‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’—এ প্রতিপাদ্যে দেশজুড়ে বীমা দিবসের উৎসব উদ্বোধন করতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বীমা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় পাঁচজনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তিনি।
জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সম্পদের উন্নত ও সুষম ব্যবস্থাপনা আর টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বীমার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই খাতে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আরো বাড়াতে হবে। আপনাদের যাঁরা পর্যবেক্ষক হবেন, অর্থাৎ যেকোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটলে আগুন লাগলে যাঁকে পরিদর্শনে পাঠান, তাঁকে কিন্তু ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে এবং সৎলোক হতে হবে। প্রিমিয়ামটা যাতে সঠিকভাবে দেয়, সেটা যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে টাকাটা যাতে ঠিকভাবে পায় সেটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। যতটুকু পাওয়ার ততটুকুই দিতে হবে। ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত নেওয়ার যে প্রবণতা, সেটাও দূর করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বীমা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আস্থার সংকট, তা সমাধানে কাজ করতে হবে। বীমা প্রতিষ্ঠানের সব কাজ ডিজিটাল বা প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে। মানুষের কাছে আপনাদের প্রচারটা আরো ব্যাপকভাবে করা দরকার। পুরো পৃথিবী এখন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে। এ জন্য বাংলাদেশের বীমা খাতকেও পুরোপুরি ডিজিটাল করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।’
কৃষি, স্বাস্থ্য, রেলযাত্রা ও শিক্ষায় বীমা চালুর পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বর্তমান সরকার বীমা খাতে ভর্তুকি চালু করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বেকারত্ব নিরসনে শিক্ষিত যুবকদের বীমা এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি।