লিমা আক্তারের (২৩) বিয়ে হয়েছিল ১৫ দিন আগে। কিন্তু এরই মধ্যে লাশ হতে হলো তাঁকে। একটি তালাবদ্ধ ঘরে সেই লাশ পঁচে-গলে পোকায় ধরেছিল। রাজধানীর মুগদার দক্ষিণ মান্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল বুধবার রাতে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মুগদা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আশীষ কুমার দেব এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে আশীষ কুমার দেব বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে আমরা ধারণা করছি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’

আশীষ কুমার দেব আরো বলেন, ‘লিমা আক্তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কমলাপুরে থাকতেন। এক বছর আগে তিনি রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। আর বাসায় ফেরেননি। ১৫ দিন আগে নিলয় নামের এক যুবকের সঙ্গে লিমার বিয়ে হয়। গতকাল রাতে স্থানীয়রা থানায় ফোন দিয়ে জানালেন, তালাবদ্ধ ঘর থেকে পঁচা গন্ধ ছড়াচ্ছে। তারপর আমরা গিয়ে দেখি ঘরটি বাইরে থেকে তালা লাগানো। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি, লিমার সারা শরীরে পোকা। ধারণা করছি, অন্তত ছয়দিন আগে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আশীষ কুমার দেব বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে ওই বাসায় থাকতেন লিমা ও নিলয়। সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর স্থানীয়রা নিলয়কে এলাকায় দেখেছেন। তারপর থেকে তিনি পলাতক আছেন। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি। এই ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন কাজী মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’