বাল্যবিয়ের চেষ্টা, প্রেমিকযুগলের ঠাঁই হলো সংশোধনাগারে
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মহেশ্বর খিলা গ্রামে কিশোর-কিশোরীর বিয়ের চেষ্টা করায় ওই প্রেমিকযুগলকে কিশোর-কিশোরী সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ে ভেঙে কিশোরকিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ সোমবার পুলিশ তাদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের ১৫ বছরের এক কিশোরের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েকদিন ধরে প্রেমিকা কিশোরী ওই গ্রামে বিয়ের দাবিতে আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে। এ নিয়ে এলাকায় চলছিল আলোচনা- সমালোচনা। গতকাল রোববার রাতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে এলাকার কয়েকজন। খবর পেয়ে ওইদিন রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন। এরপর প্রেমিকযুগলকে নেত্রকোনা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে আজ সোমবার প্রেমিকযুগলকে এক মাসের জন্যে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সুলতানা রাজিয়া জানান, কিশোর- কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে তারা বাল্যবিয়ের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে কিশোরী ও কিশোরের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কিশোরকে এক মাসের জন্যে গাজীপুরের টঙ্গীর জাতীয় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র ও কিশোরীকে গাজীপুরের জাতীয় কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল জানান, রাতেই তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আজ সেখান থেকে তাদের কিশোর ও কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।