বাবার লাশ দেখে বাকরুদ্ধ ছেলে
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটের আশ-শেফা হাসপাতালের নিচতলা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা। ট্রলিতে শুয়ে রাখা একটি রক্তাক্ত লাশ ঘিরে শতাধিক নারী পুরুষের ভিড়। কেউ অঝোরে কাঁদছে, আবার কেউ সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে লাশের পাশে মাথায় টুপি, গায়ে পাঞ্জাবি পরিহিত এক শিশু লাশের দিকে তাকিয়ে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শিশুটির নাম মোহাম্মদ তারেক (১১)। ট্রলিতে শুইয়ে রাখা শফিকুল ইসলাম মিয়া (৩৬) শিশুটির বাবা।
ট্রলিতে শুয়ে রাখা নিহত বাবার চেহারা দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার দৃশ্য দেখে উপস্থিত অনেকের চোখে ভিজে ওঠে। শিশু তারেক কেরানীহাট বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের হেফজ বিভাগের ছাত্র।
এর আগে আজ ভোর ৪টার সময় কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের সত্যপীরের দরগা এলাকায় একদল চোর একটি মোটরসাইকেল চুরি করে কেরানীহাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে আমতল এলাকায় দুজনকে আটক করে। এ সময় চোরের দল লোকজনের ওপর হামলার চেষ্টা করলে সুবজ নামের এক যুবক তাঁর বড় ভাই শফিকুল ইসলাম মিয়াকে ডাক দেন। শফিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধরাপড়া চোরদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্য সদস্যরা পেছনের থেকে এসে অতর্কিতভাবে লোহার রড দিয়ে শফিকের মাথায় সজোরে আঘাত করলে তিনি মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সুযোগে ওই চোরের দল পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন শফিককে উদ্ধার করে কেরানীহাটের আশ-শেফা হাসপাতালের নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।