বাণিজ্য সব সময়ের জন্য লক্ষ্মী, এ জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যকে বহুমুখীকরণের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করছে সরকার। আগামী বছর থেকে পূর্বাচলের নির্ধারিত স্থানে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য সব সময়ের জন্য লক্ষ্মী, এ জন্য আমরা বাণিজ্যের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দৃষ্টি দিচ্ছি।’
আজ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারত, পাকিস্তান, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০ দেশের ৪৮৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল নিয়ে শুরু হওয়া মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন পণ্যের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতেই সবাইকে নতুন বর্ষের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যকে বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলাম, বিশ্বব্যাপী একটা মন্দা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেই মন্দা কাটিয়ে উঠে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের রপ্তানিটাও আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কেউ যদি বিনিয়োগ করতে আসেন, প্রথম সমস্যা হয়ে যায় ভূমি। সে জন্য উন্নত ব্যবস্থাদি দিয়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে দিচ্ছি। যখনই যাঁরা বিনিয়োগ করতে আসবেন, সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁরা জমিটা এবং অন্যান্য জিনিস পেয়ে যান।’
এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, দুবাই, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও ব্রুনাইসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাণিজ্য মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। বড়দের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
১৯৯৫ সাল থেকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।