বসতঘরে পাওয়া গেল ২২ গোখরা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের একটি বসতঘরের মেঝের গর্তে ২২টি বিষধর গোখরা সাপ পেয়েছে স্থানীয়রা। তারা সাপগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আজ বুধবার বিকেলে গ্রামের আমতলা পাড়ার কিনু মন্ডলের ছেলে মনি মিয়ার বসতঘর থেকে সাপগুলো উদ্ধার করা হয়।
উথলী গ্রামের মনি মিয়া জানান, বসতঘরের মেঝেতে হঠাৎ ইদুরের গর্ত দেখতে পাই। এতে সন্দেহ হয় যে, ওই গর্তের ভেতরে সাপ থাকতে পারে। এমন সন্দেহ থেকেই বুধবার বিকেলে কয়েকজন যুবককে নিয়ে ঘরের মেঝের মাটি কোপাতে শুরু করি। এর পরপরই মেঝে থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে একেকটি গোখরা সাপ। ঘরের অর্ধেক মাটি কাটা শেষ হতেই ২২টি গোখরা সাপ পাওয়া যায়। সাপগুলো মেরে ফেলা হলেও আরও সাপ থাকতে পারে বলে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মনি মিয়া জানান, বৃষ্টি ও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে গর্ত খোড়ার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং গর্তের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার সকালে আবার ওই গর্ত খোড়া হবে।
সাপগুলো দেখতে লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমান। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান মনি মিয়া।
স্থানীয় ওঝা রফিকুল ইসলাম সাপগুলো দেখে গোখরা বলে চিহ্নিত করেন। তিনি জানান, এটা কোবরা যা অনেক এলাকায় গোখরা সাপ হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সাপটি ফসলের ক্ষেত, জলাভূমি, বন ও মানুষের বসতিতে বাস করে। সাধারণত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে স্ত্রী সাপ ১০ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা বের না হওয়া পর্যন্ত মা সাপ ডিমের সঙ্গেই থাকে। নিশাচর এই সাপটি মাছ, ইদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, ছোট সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। সাপটি সারা দেশেই কমবেশি দেখা যায়।
একসঙ্গে এতগুলো সাপ পাওয়ার বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, একইস্থানে একাধিক সাপের ডিম পাড়া অস্বাভাবিক নয়। সাপগুলো দুই-তিন মাস আগেই ডিম ফুটে বের হয়েছে। যে কারণে বাচ্চাগুলো বড়ো সাপে পরিণত হয়েছে।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, উথলী গ্রামের আমতলা পাড়ায় একটি বসতঘরের মেঝে থেকে ২২টি বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধারের বিষয়টি শুনেছি।