প্রয়োজনীয় কারিগরি ও পেশাগত জ্ঞান অর্জন করুন : সেনাসদস্যদের রাষ্ট্রপতি
প্রয়োজনীয় কারিগরি ও পেশাগত জ্ঞান অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আধুনিকায়নের সঙ্গে প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সব সদস্যকে (সশস্ত্র বাহিনী) এখন থেকেই প্রয়োজনীয় কারিগরি এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে।’
চট্টগ্রামের হালিশহরে আজ রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আবদুল হামিদ। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে। অনুষ্ঠানে ১, ২, ৩ ফিল্ড ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনী তার মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি সব সময়ই জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পেশাগত দক্ষতার কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের তদারকিসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের ওপর দেওয়া হয়েছে।’
আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্তব্য, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।’ দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও জনকল্যাণমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে অবদান রাখার তাগিদ দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে আর্টিলারি রেজিমেন্টের উন্নতি সাধনে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’ অনুষ্ঠান শেষে তিনি দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিব এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ উপস্থিত ছিলেন।