প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, মুজিব বর্ষ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্যে সারা দেশে সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নয় লাখ বাড়ি নির্মাণ করে গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য এদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, কেউ ঠিকানাহীন থাকবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর ও পোরশা উপজেলায় দুর্যোগ সহনীয় ঘরবাড়ির কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডা. এনামুর রহমান।
এ সময় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁর মহাদেবপুর ও পোরশা উপজেলায় দুর্যোগ সহনীয় ঘরবাড়ির কাজ পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, কেউ গৃহহীন থাকবে না। সবার ঠিকানা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় নয় লাখ বাড়ি নির্মাণের অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে এইসব বাড়ি ‘যাদের জমিও নাই, বাড়িও নাই’ তারাই পাবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ঘরবাড়ির উদ্বোধন করে বাড়ির চাবি উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন।
এর আগে বিকেলে নওগাঁয় ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি বলেন, দেশে বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশে দ্রুত ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোট ৬৬টি এ ধরনের গুদাম কাম তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসে নওগাঁয় এই ত্রাণ গুদাম কাম তথ্যকেন্দ্রটি নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হলো। জেলাপর্যায়ের এসব গুদামে ত্রাণ সামগ্রী মজুদ থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই জেলার সব উপজেলায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এই লক্ষ্যে একই প্রকল্পের আওতায় আরো ৫০০টি উপজেলায় এমন ত্রাণ গুদাম কাম তথ্যকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। শিগগিরই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ্য দায়িত্বশীলতার কারণে এই মন্ত্রণালয় একটি সক্ষম মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সেই কারণে দুর্যোগ মোকাবিলা ও যোগাযোগ সচল রাখতে ৩০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে যা দৃষ্টান্তমূলক।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত ৪২ নম্বর প্যাকেজের আওতায় জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯২ টাকা।