তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। দুই দেশের সরকার তা ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে, বিএনপির এতে মন খারাপ হয়েছে। 

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সফরে অনেকগুলো চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ। এটির জন্য আমরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে এসেছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতদিন ধরে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহারের বিষয়ে যে বাধা ছিল, তা দূরীভূত হয়েছে। এখন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করতে পারবে। এটি একটি বড় অর্জন।’ 

আমাদের সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনাই ভারতের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০টি পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের সমস্ত পণ্য রপ্তানিতে ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেগুলো অন্য কেউ আদায় করতে পারেনি। আর কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়েও আমাদের পক্ষে যে চুক্তি হয়েছে, সেটি একটি বড় অর্জন।’ 

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ধরনের আপত্তি নেই। কিন্তু, ভারতের বিধিবিধান অনুযায়ী সেখানে রাজ্য সরকারের একটি অনুমোদন লাগে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যেহেতু আপত্তি আছে, সে কারণে এটি এতোদিন ধরে এগোয়নি। তবে, আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই এটির সমাধান হবে।’

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যান উপকমিটি আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রেসক্লাবের বাগানে একটি ডালিম গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। 

প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও উদ্যান উপকমিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন, রহমান মুস্তাফিজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।