প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পেঁয়াজ নিয়ে প্রশ্ন থাকা উচিত নয় : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এরপর আর পেঁয়াজ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। আমারও কোনো বক্তব্যে জড়ানো উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী একদম খোলাখুলি বলেছেন, সমস্যা কোথায় এবং সমাধানের পথটিও দেখিয়ে দিয়েছেন।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা চাইবে সব সহযোগিতা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজ নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক বাতিল করা হয়েছে। তাই পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পেঁয়াজের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে।’
শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘যে অর্থনীতিতে দূর্নীতি থাকে সেই অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। আমরা টেকসই উন্নয়ন করবো। সব ধরনের দুর্নীতিকে বাদ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো। দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আয়কর না দিলে সরকার চলবে কেমন করে। দেশের সব মানুষ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের জন্য রেভিনিউ দরকার। করের আয়তনটা বৃদ্ধি করবো। সম্প্রসারিত করবো পরিধি। করের হার কমিয়ে সবাইকে একটি নেটে নিয়ে আসবো। সবাই যদি ট্যাক্স দেয় তবে এটা সবার জন্য সহজ হবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করার। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই।’
জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুসুদ্দি, বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার বার্তাপ্রধান জ. ই. মামুনসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অর্থমন্ত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।