প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আম্পানে ক্ষতি কম : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সুপার সাইক্লোন আম্পানে দেশে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।'
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির কক্ষে সাংবাদিকদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই দেশে কোনো দুর্যোগ আসে, জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান। আম্পানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সারা রাত তিনি মনিটরিং করেছেন এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগেও তিনি যেভাবে সবাইকে নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছেন, তা পৃথিবীর সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উদাহরণে পরিণত করেছে।'
অন্যদিকে, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপির শুধু সিদ্ধান্তের অভাবে এক ডজন যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যেগুলো ঝড়ের আগে উড়িয়ে ঢাকা বা যশোরে আনলেই রক্ষা পেত বলে উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘সেইসঙ্গে অনেকগুলো জাহাজ শুধু আরো উজানে নোঙর না করার কারণে নোঙর ছিঁড়ে ডাঙায় উঠে এসেছিল। আর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত প্রাণহানি হয়নি।'
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ সভায় বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী এ সময় নানা গুজবের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিকরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় যে কাজ শুরু করেছিল, তা দ্রুততার সঙ্গে করা হবে। একই সঙ্গে ঈদের পরপরই গুজব রটনাকারী ভুয়া অনলাইন পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনায় সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা এবং সারা দেশে ছুটি হলেও সাংবাদিকদের কোনো ছুটি নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছে, সব সময় ছিল এবং থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন ড. হাছান। তিনি বলেন, এটি ঈদের পর শুরু হবে এবং এ সহায়তা কারা পাবেন, সাংবাদিক ইউনিয়নই তা ঠিক করবে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন দিতে কার্পণ্য করে, এটা ঠিক নয়।'
সুজিত রায় নন্দী আওয়ামী লীগকে গণমাধ্যমবান্ধব দল হিসেবে বর্ণনা করেন।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, করোনায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, দৈনিক বর্তমানের প্রধান প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।