প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়েছে
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় কিশোর আলোর প্রকাশক ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ দিন নির্ধারণ করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম আলোর সহযোগী প্রকাশনা ‘কিশোর আলো’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানের জন্য টানা বিদ্যুৎ সংযোগে স্পৃষ্ট হয় শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার রাহাত। পরে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ৬ নভেম্বর নাঈমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত সেদিন নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়।
এরপরে, গত ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। আদালত কিশোর আলোর প্রকাশক ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এঁদের মধ্যে গত ২০ জানুয়ারি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ পাঁচজনকে অভিযোগপত্র আমলে না নেওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেন।
অন্য চার আসামি হলেন কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক। এ ছাড়া কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার জামিনের আবেদন করেননি।