পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের ফলাফল বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। পরাজিত এক প্রার্থীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে এক মাসের মধ্যে ফের ভোট গণনার আদেশ দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টের সেই আদেশ স্থগিত করে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এই আদেশ দেন। এর ফলে পাবনা পৌরসভায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধানের মেয়র হতে আর কোনো বাধা থাকল না।

চেম্বার আদালতে শরীফ উদ্দিনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু।

গত ৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধানকে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধান নারিকেল গাছ প্রতীকে ২৭ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৪৭ ভোট।

এরপর নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি। শুনানি শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পাবনা পৌরসভার মেয়র পদে ফের ভোট গণনার নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হাসান হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে নির্বাচনের ফল এক মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত।

রিটের পক্ষে আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে শরীফ উদ্দিন প্রধানকে ১২২ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন কেন্দ্রে এক হাজার ২০০ এর মতো ভোট বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া ভোট গণনায় বিভিন্ন অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা পেয়েছেন সাত হাজার ৫০৪ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী চৌধুরী মোহাম্মদ মাহাবুবুল হক রাজন পেয়েছেন ২৭৬ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন এক হাজার ৬৫৯ ভোট।