পাওনা টাকা না দেওয়ায় মোশারফকে খুন করে বন্ধুরা
গাজীপুরে পাওনা টাকা না দেওয়ায় মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে বন্ধুরা। চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এ খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই।
আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হন মো. আলম হোসেন (৩৯)। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর এরশাদ নগর ৫ নম্বর ব্লক এলাকার বাসিন্দা।
নিহত মোশারফ হোসেন (৪০) টঙ্গীর এরশাদ নগর ৬ নম্বর ব্লক এলাকার বাসিন্দা এবং আলম হোসেনের বন্ধ।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, ২০১৭ সালের ২১ মে বিকেলে মোশারফ হোসেনকে মোবাইলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান তাঁর বন্ধু শান্ত। পরে রাতে মোশারফের লাশ বাসার সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব) মামলা করেন। গাজীপুর জেলা পুলিশ ও পরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল থাকায় আদালত গত মার্চ মাসে এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেন গাজীপুর পিবিআইকে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আরো জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত আলম হোসেনকে গতকাল মঙ্গলবার এরশাদ নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলমকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর চাঞ্চল্যকর মোশারফ হোসেন খুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আলম হোসেন জানান, ব্যবসার জন্য বন্ধু শান্তর কাছ থেকে সুদে দুই দফায় দুই লাখ টাকা ধার নেন মোশারফ হোসেন। পরে পাওনা টাকা না দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এর জেরে শান্ত বন্ধুদের সহযোগিতায় হায়দরাবাদ সেতুর দক্ষিণ পাশের রেললাইনের ঢালে মোশারফকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোশারফকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশ রিকশায় নিয়ে এসে বাসার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বন্ধুরা।