পরকীয়ার জেরে ভাবি-ভাতিজাকে খুন
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় মা ও ছেলে খুনের ঘটনার হত্যারহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পরকীয়ার জের ধরে শিশুসন্তানসহ গৃহবধূ পারভীনকে খুন করেছে তাঁরই দেবর সোলাইমান হোসেন (২৮)। গ্রেপ্তারের পর দেবর সোলাইমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেবর সোলাইমানের সঙ্গে তাঁর ভাবি পারভীনের পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে পরকীয়া চলছিল। এর মধ্যে বিদেশ গিয়ে তিন মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন সোলাইমান। এর পর থেকেই ভাবি তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। গত বুধবার রাতে সোলাইমান তাঁর ভাবির রুমে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এ সময় ভাবি তাঁকে আবারও বিয়ের কথা বলেন এবং এ নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোলাইমান ধারালো চাকু নিয়ে প্রথমে ভাবির গলায় আঘাত করে। পাশে ঘুমিয়ে থাকা ভাতিজা নুর মোহাম্মদ তাঁকে চিনতে পারায় তাকেও ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার পর সোলাইমান ছুরি ও নিজের রক্তমাখা পোশাক ধুয়ে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
এ মামলার বাদী সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, সোলাইমানকে আজ দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল রাফিন সুলতানার আদালতে তোলা হলে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠান।
গত বুধবার রাতে সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামের নিজ বাসা থেকে সৌদিপ্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম ও ছয় বছরের শিশু নূর মোহাম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে পারভীনের মা মজিরন বেগম সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।