নেত্রকোনায় হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবস পালিত
কথার জাদুকর প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের নিজ জেলা নেত্রকোনায় পালিত হয়েছে অষ্টম প্রয়াণ দিবস। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই স্মরণ কথনের আয়োজন করে 'হিমু পাঠক আড্ডা'।
এর আগে কালো ব্যাজ ধারণ করে হিমু পাঠকরা। এ সময় তরুণ ভক্তরা হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু সেজে প্রিয় লেখকের প্রয়াণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।
হিমু পাঠক আড্ডার আলপনা বেগমের পরিচালনায় সাহিত্যিক অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে লেখকের নিজ জেলার স্মৃতিচারণা করা হয়।
হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নানার বাড়ি মোহনগঞ্জ এবং পৈত্রিক ভিটা কেন্দুয়া উপজেলা নিয়ে লেখকের শৈশব-কৈশোর সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রবীণ সাংবাদিক ছড়াকার শ্যামলেন্দু পাল।
এ ছাড়া লেখকের জীবনী ও পুরস্কার নিয়ে আলোচনা করেন মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, উদীচীর সম্পাদক অসিত ঘোষ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী ভট্টাচার্য, ঢাবির ছাত্র তানভীর হায়াত খান, শিশু ছায়ার তোফায়েল খান সায়ন, হিমু পাঠক বর্ণদ্বীপ রায় শ্যামসহ সদস্যরা।
এদিকে, জন্মস্থান নানার বাড়ি মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন ছাড়াও পৈত্রিক ভিটা কেন্দুয়ার কুতুবপুর লেখক প্রতিষ্ঠিত 'শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে' দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তাঁর ডাক নাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তাঁর ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক। ২০১১ সালে তাঁর অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরের বছরের মাঝামাঝি সময় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইনফেকশন হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর পর হুমায়ূন আহমেদকে তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায় দাফন করা হয়।