নেত্রকোনায় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে বিএনপির ওপর ‘যুবলীগের হামলা’, আহত ১০
নেত্রকোনায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে বিএনপির ওপর যুবলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। কমলাকান্দায় হামলার এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি উপজেলা বিএনপির। তবে, যুবলীগ এ ঘটনা অস্বীকার করেছে। আর পুলিশ বলছে, দুজন আহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে, পুলিশের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি।
সারা দেশের মতো নেত্রকোনায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নেত্রকোনা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। জেলার কলমাকান্দায় উপজেলায়ও শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানা যায়, কলমাকান্দায় বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিতে যাওয়ার সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা অর্তকিতে হামলা চালায়। হামলায় বিএনপির অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন গুরুতর আহত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মতিন।
আব্দুল মতিন বলেন, ‘যুগ্ম আহবায়ক টুটুন মিয়া, সদর যুবদল সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবীনসহ কয়েকজন যুবলীগের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শহীদদের বেদিতে ফুল দিতে যাওয়ার সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালালে আহত হন অন্তত ১২ জন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে কমলাকান্দা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে, এখন পর্যন্ত হামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।’
কমলাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এতে দুজন আহত হয়। তবে, কোনো অভিযোগ আসেনি। এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, নেত্রকোনা জেলা শহরে তোপধ্বনির পর শহীদদের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। পরে জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।