নেত্রকোনায় নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
গত কয়েক দিনের অব্যাহত প্রবল ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়কের বাহাদুরকান্দা এলাকায় প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার দূর্গাপুর, কলমাকান্দা, বারহাট্টা উপজেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার কংশ, মগড়া, সোমেশ্বরী, উব্দাখালী ও ধনু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকায় দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে দূর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কালিকাবর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অনেক আমন বীজতলা, বেশ কিছু গ্রামীন কাঁচা রাস্তাঘাট ও শতাধিক পুকুর তলিয়ে গেছে।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রহিদুল হোসেন খান বলেন, 'দূর্গাপুর কলমাকান্দা, বারহাট্টাসহ জেলার বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দূর্গাপুরের গাঁওকান্দিয়া এলাকায় কালিকাবর বেড়িবাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি অচিরেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত ৫৫ মি.লি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ১৪ একর আমন বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, 'অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে যাতে কৃষকের আমন ধানের বীজতলার কোনো ক্ষয়-ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।'