নূর হোসাইন কাসেমীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আজ শনিবার সকাল পৌনে ১১টায় নূর হোসাইন কাসেমীর প্রেস সেক্রেটারি মুনির আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
মুনির আহমেদ বলেন, ‘হুজুরের শারীরিক অবস্থা (গতকাল) শুক্রবার রাত থেকে খারাপের দিকে গেছে। আজ শনিবার সকালে আরো বেশি সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। সুস্থ করার মালিক আল্লাহ।’
গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ বোধ করলে আল্লামা কাসেমীকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তাঁর রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
নূর হোসাইন কাসেমীর ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও কয়েক দফা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছে বলেও জানান মুনির আহমেদ।
নূর হোসাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর (রহ.) মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বর নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আল্লামা বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।
তিনি একাধারে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, আল হাইআতুল উলয়ার সহসভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি এবং জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা ও জামিয়া সোবহানিয়া মাহমুদ নগরের শায়খুল হাদিস ও মহাপরিচালক। হেফাজত আন্দোলন, খতমে নবুয়ত আন্দোলনসহ প্রভৃতি আন্দোলনে তিনি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি প্রায় ৪৫টি মাদ্রাসা পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছেন।