নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, আশা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
ভোটারদের উদ্দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, ‘দয়া করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। হয়তো কিছু সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে কাজ করে না। কিছু সময়ে এটি গোলযোগপূর্ণ এবং অগোছালো হয়ে থাকে। তবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।’
আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আর্ল আর মিলার বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। যা আমরা গত জাতীয় নির্বাচনে করেছি। তাঁরা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হবেন না, তাঁরা মূলত কূটনৈতিক কোরের সদস্য হবেন। তাঁরা নির্বাচনের দিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখবেন।’
এ সময় ইভিএম নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানকার কর্মকর্তারা আমাকে ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি তাঁরা ভোটারদের কাছেও ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে, তাঁরা যে প্রার্থীকেই ভোট দেন না কেন। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে ভোট প্রদানের হার প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। যা প্রশংসা করার মতো।’
আর্ল আর মিলার বলেন, ‘এটি বেশ আশাব্যঞ্জক যে, রাজনৈতিক দলের পক্ষগুলো তাঁরা একে অপরকে যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। ফলে যেই জয় পাক না কেন, তিনিই পরবর্তী সময়ে ঢাকার নেতা হবেন। ঢাকার অধিবাসী হিসেবে এটি বেশ আশাব্যঞ্জক, যা আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শুনেছি।’
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। আমরা আশা করি, এটি অংশগ্রহণমূলক হবে। যারা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, যারা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চায় বা যারা প্রার্থী, তাদের সেই অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে বলে আশা করি।’
আর্ল আর মিলার বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির দিন। কারণ আজ ‘মার্টিন লুথার কিং ডে’। গণতন্ত্রে ক্ষমতা এবং যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মার্টিন লুথারের থেকে ভালো কেউ জানেন না। আর এ কারণেই আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আমি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে চেয়েছি। এ বিষয়ে (ইভিএম নিয়ে) বেশ কিছু শিখেছি।’
এর আগে দুপুর ১টার দিকে আর্ল আর মিলার সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন।