নারায়ণগঞ্জে কিট নেই, করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ
নারায়ণগঞ্জে করোনা চিকিৎসার ৩০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে কিট সরবরাহ না থাকায় কয়েকদিন ধরে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে, এ হাসপাতালে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করার কথা থাকলেও বারবার তাগাদা দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব না হওয়ায় হতাশ মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।
জেলায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা অনেকেই। আর যারা নমুনা দিয়ে রেখেছে, তারাও রিপোর্ট পাচ্ছে না। এ নিয়ে সাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামসুদ্দোহা সঞ্জয় বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত কিট না আসে, ততদিন আমরা ঢাকায় নমুনা পাঠানো যায় কি না দেখছি। যদি ডিজি (মহাপরিচালক) মহোদয় অনুমতি দেন, তাহলে আমরা সংগৃহীত নমুনা ঢাকায় পাঠাব। এখন পর্যন্ত কিট পাইনি। পেলেই পরীক্ষা শুরু করব।‘
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানে না কিট কখন আসবে আর কখন নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে। আর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা না থাকায় আইসিইউ স্থাপন করা যাচ্ছে না বলে জানান হাসপাতালের এ চিকিৎসক।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জের করোনা যোদ্ধা কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ আইসিইউ স্থাপনের তাগাদা দিয়েছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আইসিইউ স্থাপন সম্পর্কে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ থেকে আড়াই মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন এখানে ল্যাব হবে এবং ১০ শয্যার একটি আইসিইউ হবে। কিন্তু আমি খুব অবাক এবং বিস্মিত এখন পর্যন্ত এই আইসিইউ করতে পারিনি বা কার্যকর হয়নি।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি আর এখনো আমি জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব ওই হাসপাতালকে উপযুক্ত করা জন্য। যাতে সেখান থেকে আমাদের রোগীরা না ফিরে আসে।’
৩০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দ্রুত কিট সরবরাহ এবং আইসিইউ স্থাপনে সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সে প্রত্যাশায় করছে নারায়ণগঞ্জবাসী।