নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ : জেএমআই চেয়ারম্যানের জামিন বহাল
নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে দেওয়া নিম্ন আদালতের জামিন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
জামিনের বিরুদ্ধে জারি করা রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে জেএমআইয়ের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জামিন প্রশ্নে ইতোপূর্বে জারি করা রুল ডিসচার্জ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে নিম্ন আদালতে জেএমআই চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে দেওয়া জামিন বহাল থাকল।
এর আগে গত বছরের ২৯ নভেম্বর নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে আদেশ দেন।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামি আবদুর রাজ্জাকের জামিন মঞ্জুর করেন।
নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সিএমএসডির উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিকেল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ ও সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলার পর পরই রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের ৮ অক্টোবর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে ঢাকা মহানগর আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।