নওগাঁয় শিক্ষক নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আবাসিক এলাকায় করাতকল স্থাপনের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশ থানায় মামলা রেকর্ড করেছে। গতকাল সোমবার রাতে প্রধান আসামি এরশাদ আলী মণ্ডলকে উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃত এরশাদ আলী পাঁজরভাঙ্গা গ্রামের দেলশাদ আলী মণ্ডলের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার প্রবীণ শিক্ষক নাসিম উদ্দিনের অভিযোগ, রাজশাহীর বাগমারা থেকে সম্প্রতি নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। এলাকায় অবৈধ স’মিলে মানুষের ভোগান্তি দেখে তার প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ও নির্যাতন চালান করাতকলের মালিক দেলশাদ আলী মণ্ডলের দুই ছেলে এরশাদ আলী মণ্ডল, আব্দুর রাজ্জাকসহ তাঁদের সহযোগীরা। নির্যাতনের একপর্যায়ে নাসির উদ্দিনকে মেরে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। এ সময় গ্রামবাসী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনরা এগিয়ে এসে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। গত বুধবার এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও নির্বিকার ছিল পুলিশ প্রশাসন। অবশেষে গতকাল রাতে প্রধান আসামি এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, স’মিলের মালিক দেলশাদ হোসেন মণ্ডলের দাবি, আইন মেনেই চলে তাঁর করাত কল। ৩৫ বছর ধরে পাঁজারভাঙ্গার ওই স্থানে স’মিলটি চালিয়ে আসছেন তাঁরা। কোনো দিনই কারো সমস্যা হয়নি। মূলত নাসির উদ্দিনের জামাতা রেজাউল ইসলামের কাছে পাওনা রড সিমেন্টের চার লাখ ৫৬ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।