ধুনটে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্পারের ৩০ মিটার ধস, ১৫ গ্রাম হুমকির মুখে

বগুড়ার ধুনটের ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়নে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে নির্মিত বানিয়াজান স্পারে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাত ১০টায় এই ভাঙন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত স্পারের ৩০ মিটার যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙন রোধে এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টায় ২০ মিটার স্পারের সিসি ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তবে ৫ আগস্টের ভাঙনের পর স্পারটির মেরামত কাজ ঠিকমতো না করায় এবারের এই ভাঙন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সালে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে স্পারটি নির্মাণ করা হয়। স্পারটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ২০০ মিটার। স্পার নির্মাণে ব্যয় হয় ১১ কোটি টাকা। যমুনা নদীর বুকে ডুবুচর জেগে ওঠায় পানির প্রবল স্রোত আঘাত করছে স্পারে। এতেই স্পারের মাটির অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে বানিয়াজান, ভাণ্ডারবাড়ী, কয়াগাড়ী, পুকুরিয়া, কাজিপুরসহ ১৫টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে পড়ে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, বিষয়টি জানার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে যান। এরপর তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানানোর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঠিকাদার ও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আসার আগেই তিনি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেন। এ ছাড়া রাতেই গ্রামের দেড় শতাধিক লোকজনকে দিয়ে বস্তায় বালি ভরানো হচ্ছে যাতে দ্রুত বাঁধ মেরামত করা যায়।
এর আগে স্পারের যেখানে ২০ মিটার ধসে নদীতে বিলীন হয়েছে, সেখান থেকেই এবার আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রথম ভাঙনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কিছু বস্তা প্যাকেট করা হয়েছিল। কিছু বস্তা ডাম্পিংও করা হয়েছিল।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে এবং সেখানে জিও ব্যাগসহ সবকিছু রেডি আছে। এরই মধ্যে ২০০ শ্রমিক দিয়ে ওই স্থানে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হয়েছে।’
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, এই বাঁধে আসলে মেজর মেইনটেন্যান্স (বড় ধরনের মেরামত) দরকার। বাঁধটি আরও চওড়া করে বানাতে হবে। চওড়া করার একটি প্রস্তাব দেওয়া আছে মন্ত্রণালয়ে।