ধর্ষণ মামলা : ছাত্র অধিকার পরিষদের মামুনকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। তিনি আরো বলেন, ‘সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
পরে রাতে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন সংগঠনের ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান এবং রাফিয়া সুলতানা।
কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নুরুল হক নুর বলেন, ‘সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি গুরুতর। সেজন্য সংগঠনের নীতি-নৈতিকতাকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় পরিষদের সবাই বসেছিলাম। সেখানে মামুনকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মামুনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু তাকে কোনোভাবেই পাওয়া যায়নি। আমরা জানি না, তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন নাকি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে নতুন আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘মামুন যাতে তদন্তে কোনো ধরনের প্রভাব খাটাতে না পারে এজন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং বিষয়টি যেহেতু আদালতে গেছে সেখানে তিনি দোষী কি নির্দোষ সেটারও ওপর ভিত্তি করে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী। একই বাদী গত রোববার ডিএমপির লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা করেছিলেন।
কোতোয়ালি থানায় করা মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (২৫), ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং আব্দুল্লাহিল বাকি (২৩)। এর আগে লালবাগ থানার মামলায় হাসান আল মামুনকে ১ নম্বর ও নাজমুল হাসান সোহাগকে ২ নম্বর এবং নুরকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।